স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে বরগুনা-১ (আমতলী, তালতলী ও বরগুনা সদর) এলাকায়। নির্বাচনে ভোটে লড়বার প্রস্তুতি অংশ হিসেবে মাঠে সরব হচ্ছেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। বিভিন্ন হাটে-বাজারে, মোড়ে-মোড়ে চা স্টলে ক্রমেই জমে উঠছে নির্বাচনী আলাপ আলোচনা। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নানান ধরণের সেবামূলক কাজ নিয়ে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। তবে ২০২৪ সালের এ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতারাই বেশি সরব রয়েছেন। অনেকেই নিজেকে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষাণা দিয়ে নানা উছিলায় জনগণের কাছে যাচ্ছেন। অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামীন রাস্তা সংস্কারসহ ছোট-খাটো নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। সব মিলে মাঠ জুড়ে আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আসন্ন নির্বাচনে এই আসনটিতে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে। ২০০১ সালে বরগুনা- ৩ আসন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ওই আসন থেকে নির্বাচিত হতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।২০০২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওই আসন ছেড়ে দিয়ে তাকে উপনির্বাচনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন ।বিনএপি ক্ষমতায় থাকায় ওই আসন থেকে মতিয়ার রহমান তালুকদার নির্বাচিত হোন।এরপর ২০০৪ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস নিজ অর্থায়নে তৈরি করেন।
তিনি দীর্ঘদীন বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে তত্ত¡াবাধয়ক সরকার এই আসন কেটে বরগুনা-১ করেন।২০০৮ সালে তিনি নমনিশেন চেয়েছিলেন কিন্ত ওই আসন থেকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে নমিনেশন দেয়।২০১৪ তে ও চেয়েছিলেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নৌকা পান।২০১৮ তে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু ধীরেন্দ্র দেবনাথশম্ভু নমিনেশন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন । ২০১৯ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ব্যাপক ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।তাঁর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে কিছু কুচক্রী ও হাইব্রিড নেতারা তাঁর পিছনে লেগে যায়।এর ফলে উচ্চ আদলতে রায়ে ২০২২ সালে ক্ষমতা হারায়।২০২২ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের দিন প্রতিপক্ষ গ্রæপ তাঁর ছেলেকে আহত করে।এরপর ১৯ই নভেম্বর সম্মেলনের কিছু দিন পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মৌখিক নির্দেশক্রমে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন ।এই নিয়েও বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ ৭ ই জুন তাকে সরিয়ে মতিয়ার রহমানকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করেন । এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ বিভক্ত হয়ে পড়েছে । এক গ্রæপ আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানের নেতৃতে দেন অপর গ্রæপ মেয়র মো. ,মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মসূচী পালন করছেন।
এলাকার হাটে-বাজারে ও চায়ের দোকানে জনগণের মাঝে শুধু একটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর বাসীর স্বপ্ন পূরণে আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বিকল্প কে? ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় একজন জনবান্ধব মানুষ হিসেবে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে এলাকাবাসীর কাছে অত্যান্ত সাদামাটা ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিত মুখ আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান। বরাবরের মতো এই অঞ্চলটিকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা, এলাকার ঘুনেধরা সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধিত করা, এলাকার রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করা এবং এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করাই তাঁর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল উদ্দেশ্য। এলাকার নির্যাতিত-নিপীড়িত-নিষ্পেষিত মানুষসহ সংখ্যালঘু পরিবারের সকলেই সর্বদা এই মানুষটির কাছ থেকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন। তিনি কখনোই কাউকে নিরাশ করেন নি। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণও এবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। জানতে চাইলে আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান সাংবাদিকদের বলেন, এই মাটি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, সময় এসেছে দেশ, মাটি, মানুষের কল্যানে কিছু করে যাওয়ার। শুরু থেকেই এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। কাছে থেকে তাদের ব্যথা অনুভব করেছি। কারো বিপদে কখনো পাশ কাটিয়ে যাই নি। মানুষের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছি সেটা মানুষ বিবেচনা করবে।